, বৃহস্পতিবার, ২১ নভেম্বর ২০২৪ , ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ


রাতে স্ত্রীর সঙ্গে ‘অন্তরঙ্গ’ অবস্থায় দেখেই যুবককের প্রাণ নিলেন শফিকুল

  • আপলোড সময় : ২২-০৩-২০২৪ ০২:০৯:৪৫ অপরাহ্ন
  • আপডেট সময় : ২২-০৩-২০২৪ ০২:০৯:৪৫ অপরাহ্ন
রাতে স্ত্রীর সঙ্গে ‘অন্তরঙ্গ’ অবস্থায় দেখেই যুবককের প্রাণ নিলেন শফিকুল
এবার নাটোরের লালপুরে সোহেল হোসেন হত্যাকাণ্ডে রহস্য উদ্ঘাটন করেছে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)। ওই হত্যাকাণ্ডে গ্রেফতারকৃত এক ব্যক্তি আদালতে জবানবন্দি দিয়েছেন।

জবানবন্দিতে গ্রেফতারকৃত শফিকুল ইসলাম জানান, ঘরে তার স্ত্রীর সঙ্গে সোহেল হোসেনকে অন্তরঙ্গ অবস্থায় দেখতে পান। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে গলায় গামছা পেঁচিয়ে তাকে হত্যা করেন। পরে তার মরদেহ সড়কের পাশে ফেলে দেন। গত বুধবার (২০ মার্চ) সন্ধ্যায় আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন তিনি।

এর আগে, গত ১২ মার্চ সকালে ওই এলাকার একটি সড়কের পাশ থেকে সোহেল হোসেনের রক্তাক্ত মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। নিহত সোহেল হোসেন  লালপুরের পুরাতন ঈশ্বরদী গ্রামের মকবুল হোসেনের ছেলে। এ ঘটনায় থানায় মামলা করেন সোহেল হোসেনের স্ত্রী।

এরপর একই গ্রামের শফিকুল ইসলাম ও তার স্ত্রী কুলসুমা খাতুনকে গ্রেফতার করে পুলিশ। এদিকে গণমাধ্যমে পাঠানো এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানিয়েছেন পিবিআই, নাটোর জেলার পুলিশ সুপার মো. শরিফ উদ্দীন।

এদিকে মো. শরিফ উদ্দীন বলেন, রহস্যময় এই মামলার তদন্তভার পুলিশ পরিদর্শক মো. ফরিদুল ইসলামকে দেওয়া হয়। মামলার সাত দিনের মধ্যে ঘটনায় জড়িত স্বামী-স্ত্রীকে গ্রেফতার করা হয়। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে আসামিরা সোহেল হোসেনকে হত্যার সঙ্গে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেন। 

মামলার তদন্ত সূত্রে জানা যায়, শফিকুলের স্ত্রী মোছা. কুলসুমা খাতুনের সঙ্গে সোহেল হোসেনের অবৈধ সম্পর্ক ছিল। ঘটনার দিন ১১ মার্চ সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে কুলসুমা খাতুন সোহেলকে ফোন করে তার বাড়িতে ডেকে নেন। এদিকে শফিকুল তার বাড়ির কাছের চায়ের দোকানে চা খেয়ে রাত সাড়ে ৯টার দিকে তার বাড়িতে ঢুকেন।

এ সময় সোহেলকে স্ত্রীর সঙ্গে অন্তরঙ্গ অবস্থায় দেখতে পান শফিকুল ইসলাম। এতে তিনি ক্ষিপ্ত হয়ে সোহেলকে মারধর করেন। পরে হাতের কাছে থাকা গামছা দিয়ে সোহেলের গলায় ফাঁস লাগান। এতেই মারা যান সোহেল। এরপর মরদেহ বাড়ির পাশে ভুট্টা ক্ষেতের আইলের (রাস্তার) ওপর ফেলে রেখে বাড়ি থেকে পালিয়ে যান।

এ বিষয়ে পিবিআই এর পুলিশ সুপার জানান, আসামিকে গ্রেফতারের পর তার দেখানো মতে হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত গামছাটি আসামির বাড়ি থেকে উদ্ধার করা হয়েছে।
দেশে ফিরল বিশ্বজয়ী হাফেজ আনাস

দেশে ফিরল বিশ্বজয়ী হাফেজ আনাস